Mdigitech

Oronner Chaya Megh Part 6

গাড়ির ইঞ্জিন আবার গর্জন তুলে চলতে শুরু করল। ড্রাইভার নীরবে তার আসনে ফিরে এসেছে, হাতে স্টিয়ারিং ঘুরছে,এমন একটা ভাব যেন কিছুই ঘটেনি এই ঘটনাগুলো তার কাছে অবান্তর। অরণ্য জানালার বাইরে তাকিয়ে রইল, তার চোখে রাতের অন্ধকার আর পথের আবছা আলোর মিশ্রণ। সিমরান তার পাশে গুটিসুটি মেরে বসে আছে।গাড়ির ইঞ্জিনের নিচু, একটানা শব্দ রাতের নিস্তব্ধতায় মিশে গেল।
কিছুক্ষণেএ মধ্যেই গাড়ি এসে থামল এক বিশাল লোহার ফটকের সামনে। ফটকের ওপারে অরণ্যের প্রাসাদোপম বাড়ি, মনে হচ্ছে যেন রাতের অন্ধকারে এক আলোকিত দুর্গ। মার্বেলের স্তম্ভ, কাচের জানালা, আর চারপাশে ছড়ানো নিখুঁত বাগান—সব মিলিয়ে এক অপার্থিব দৃশ্য। অরণ্য গাড়ির দরজা খুলে নামল, তারপর সিমরানের দিকে হাত বাড়িয়ে বলল,
—“আমার সাম্রাজ্যে তোমাকে স্বাগত, সিমরান।”  তার কণ্ঠে একটা গভীর, নিয়ন্ত্রিত আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠল।অরণ্য আলতো স্পর্শে সিমরানের হাত ধরে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে আনল অরণ্য। সিমরানের শরীর কেঁপে উঠল। বাড়ির ঝকঝকে মার্বেল মেঝে, কাচের জানালায় প্রতিফলিত উজ্জ্বল আলো—সবই যেন তাকে অভিভূত করছে। কিন্তু তার মনে হল, এই ঝলমলে প্রাসাদ একটি সোনার খাঁচা, যেখানে সে বন্দী হতে চলেছে। অরণ্য সিমরানের পাশে হাঁটছে, ঠোঁটে সেই বাঁকা হাসি। বাড়ির যত ভিতরের দিকে যাচ্ছে সিমরানের পা তত ভারী হয়ে আসছে, তার মনে হচ্ছে প্রতিটি পদক্ষেপ তাকে এক অজানা ভয়ের দিকে তাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
হলঘরে পৌঁছতেই সিমরানের চোখ পড়ল ঘরের মাঝখানে একটি বড়, বিলাসবহুল সোফায়। সেখানে বসে আছেন একজন মধ্যবয়সী পুরুষ। হাতে খবরের কাগজ, কপালে গভীর ভাঁজ, চোখে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। তার মুখে একটা কঠিন গাম্ভীর্য আছে।সিমরান তাকে দেখেই চিনতে পারল—আজাদ চৌধুরী, পরিচিত রাজনীতিবিদ, যার নাম খবরের কাগজে প্রায়ই চোখে পড়ে। তার মুখের গঠন, চোখের তীক্ষ্ণতায় অরণ্যের সঙ্গে স্পষ্ট মিল আছে। সিমরানের বুঝতে বাকি রইল না, এই লোকই অরণ্যের বাবা।
অরণ্য সিমরানের হাত ধরে হলঘরের মাঝখানে দাঁড়িয়ে, শান্ত কিন্তু আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বলল,
—“বাবা, পরিচিত হও। এই হল সিমরান। আজ থেকে এখানেই থাকবে।”
আজাদ চৌধুরী ধীরে ধীরে খবরের কাগজ থেকে চোখ তুললেন। তার দৃষ্টি প্রথমে অরণ্যের ওপর, তারপর সিমরানের দিকে স্থির হল। সেই দৃষ্টি এতটাই তীব্র ছিল যে সিমরানের শরীরে একটা শীতল শিহরণ বয়ে গেল। তিনি যেন অরণ্যের পাশে একজন অচেনা মেয়েকে দেখে অস্বস্তিতে পড়েছেন। অরণ্য সিমরানের হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে দেখে তার ভ্রু কুঁচকে গেল, চোখে ফুটে উঠল গভীর অসন্তোষ। তিনি গম্ভীর কণ্ঠে বললেন,
—“এই মেয়ে কে, অরণ্য? তুমি তাকে এত রাতে বাড়িতে নিয়ে এসেছ কেন?”
সিমরানের বুক ধড়াস করে উঠল। তার মনে হল, সে যেন এক বিচারসভার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে। আজাদ চৌধুরীর কণ্ঠে একটা কঠিন আভিজাত্য, যা তাকে আরও অস্বস্তিতে ফেলে দিল। সে মাথা নিচু করে ফেলল, হাত কাঁপছে, মনে হচ্ছে তার পা মাটিতে গেঁথে যাচ্ছে।
অরণ্য শান্তভাবে বলল,
—“বাবা, সিমরান এখানে একটা কাজে এসেছে। কয়েক মাস থাকবে। কাজ শেষ হলে চলে যাবে।”
আজাদ চৌধুরীর চোখে বিস্ময় আর রাগ মিশে গেল। তিনি খবরের কাগজটা সোফায় রেখে সামনে ঝুঁকে বললেন,
—“কাজ? কী কাজ? তুমি একটি মেয়েকে বাড়িতে এনে থাকতে দেবে বলছ? কার অনুমতিতে এই সিদ্ধান্ত নিলে, অরণ্য? তুমি কি আমাদের পরিবারের মান-সম্মানের কথা ভুলে গেছ?”
অরণ্যের মুখে হাসি অটুট রইল। সে অদ্ভুত একটা ঔদ্ধত্য নিয়ে বলল,
—“বাবা, এতে মান-সম্মানের কী আছে? সিমরান কিছুদিন এখানে থাকবে, তারপর চলে যাবে।”
আজাদ চৌধুরী কঠোর দৃষ্টিতে অরণ্যের দিকে তাকালেন। তার কণ্ঠে রাগ আর অধৈর্য মিশে গেল।
—“কোন পরিচয়ে থাকবে? কেউ প্রশ্ন করলে কী বলবে? ভুলে যেও না, তুমি আমার ছেলে, আজাদ চৌধুরীর একমাত্র ছেলে। সমাজে তোমার একটা পরিচিতি আছে, মান-সম্মান আছে। লিভ-ইনের কথা মুখে আনতে লজ্জা হচ্ছে না তোমার?”
অরণ্য সামান্য হাসল, যেন তার বাবার কথাগুলো তার কাছে নিতান্তই তুচ্ছ।
—“বাবা, তুমি ভুল বুঝছ। সিমরান আমার প্রেমিকা নয়। তাছাড়া লিভ-ইন করতে প্রেমিকাকে কেউ নিজের পারিবারিক বাড়িতে নিয়ে আসে না। লিভ-ইন করার ইচ্ছা হলে আমি সিমরানকে নিজের ব্যাক্তিগত ফ্ল্যাটে নিয়ে যেতাম এখানে নিয়ে আসতাম না।
আজাদ চৌধুরীর ধৈর্য যেন আরও পাতলা হয়ে এল। তিনি ভ্রু কুঁচকে বললেন,
—“যা বলার সরাসরি বলো। আমি তোমার কথা বুঝতে পারছি না।রাত ১১ টায় তুমি আমার সামনে একজন যুবতীর হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছো আবার বলছো সে তোমার প্রেমিকা নয় এর মানে কি? ”
অরণ্য এক মুহূর্ত থামল। তারপর,ইশারায় বাড়ির কাজের লোকদের সেখান থেকে বিদায় করে দিয়ে নির্মম কণ্ঠে বলে উঠল,
—“বাবা, সিমরান আমার প্রেমিকা নয় আসলে ও একজন পতিতা।”
অরণ্যের মুখে “পতিতা”—শব্দটা শুনে সিমরানের শরীর যেন হিম হয়ে গেল। তার মাথা ঝিমঝিম করছে, চোখের সামনে অন্ধকার নেমে আসছে। সে চোখ তুলে অরণ্যের দিকে তাকাল, কিন্তু তার দৃষ্টিতে কেবল শূন্যতা। আজাদ চৌধুরীও স্তম্ভিত। তার মুখ লাল হয়ে গেছে, রাগে শরীর কাঁপছে। তিনি সোফা থেকে উঠে দাঁড়ালেন, কণ্ঠে অবিশ্বাস আর ক্রোধ মিশে গেল।
—“কী বললে তুমি? একজন পতিতাকে তুমি আমার বাড়িতে নিয়ে এসেছ? এত নিচে নামলে কী করে, অরণ্য? আর এই মেয়ে, তুমি,” তিনি সিমরানের দিকে তাকালেন, “তোমার এত সাহস হল কী করে এই বাড়িতে পা রাখার? এখনই বেরিয়ে যাও বলছি!”
সিমরানের গলা দিয়ে কোনো শব্দ বেরোল না। তার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা হল “আমি খারাপ মেয়ে নই! আমি পতিতা নই! আমি এখানে আমার বাবার জীবন বাঁচাতে এসেছি!” কিন্তু তার গলা আটকে গেল। চুক্তিপত্রের কথা, হাসপাতালে বাবার দুর্বল শরীর, সবকিছু তাকে নীরব করে দিল। সে প্রতিবাদ করতে চাইল, কিন্তু পারল না। চোখের জল বাঁধ মানল না, গাল বেয়ে নিঃশব্দে গড়িয়ে পড়ল।
অরণ্য শান্ত কণ্ঠে বলল,
—“বাবা, শান্ত হও। তুমি ভালো করেই জানো, আমি যা বলি, তাই করি। সিমরান এখানে থাকবে মানে এখানেই থাকবে। আর যদি তুমি সিমরানকে এখানে থাকতে না দাও তাহলে, আমি সিমরানের হাত ধরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাব ”
আজাদ চৌধুরী রেগে গর্জে উঠলেন।
—“তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে অরণ্য?একজন পতিতার হাত ধরে ঘুরলে সমাজ তোমাকে কী বলবে? এই বাড়ির মান-সম্মানের কী হবে?”
অরণ্য ঠান্ডা হাসি হেসে বলল,
—“বাবা, এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি আমার জীবন আমার মতো চালাব। এর সঙ্গে এই বাড়ির মান-সম্মানের কোনো সম্পর্ক নেই।”
আজাদ চৌধুরী আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না। তিনি দ্রুত এগিয়ে গেলেন এবং অরণ্যের গালে সজোরে একটা থাপ্পড় মারলেন। শব্দটা হলঘরের নিস্তব্ধতাকে ভেঙে চুরমার করে দিল। সিমরান হকচকিয়ে উঠল, তার চোখে ভয় আর বিস্ময় ফুটে উঠল। অরণ্য স্থির দাঁড়িয়ে রইল, গালে লাল দাগ ফুটে উঠেছে, কিন্তু তার মুখে সেই বাঁকা হাসি অটুট।
আজাদ চৌধুরী কাঁপা গলায় বললেন,
—“যা আমাদের পরিবারের নামে কালি লেপে দেয়,আমি এমন কিছু কিছুতেই মেনে নেব না।তুমি এই মেয়েকে এখনই এখান থেকে বিদায় করো। আমি তোমার জন্য শহরের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে নিয়ে আসব। দরকার হলে আগামীকালই আমি তোমার বিয়ে দিব।
অরণ্য শান্তভাবে বলল,
—“বাবা, আমি কি একবারো বলেছি, আমি সিমরানকে বিয়ে করব? বা অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে করতে চাই?আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি বিয়ে কিংবা মেয়েদের ব্যাপারে আমার কোনো আগ্রহ নেই।”
আজাদ চৌধুরী বিড়বিড় করে বলল,
__”এতদিন তো তাই জানতাম আজ হটাৎ কি হল যে বাড়িতে মেয়ে নিয়ে এসেছো তাও কিনা এমন একজন মেয়েকে যাকে সমাজে পরিচয় দেওয়া যাবে না।আমি আর তোমার এই ধাঁধা আর নিতে পারছি না ”
অরণ্য ধীরে ধীরে বলল,
—“বাবা, ওর পুরো নাম সিমরান বিনতে কামাল। আমার প্রিয় খালা শিরিন শেখের একমাত্র মেয়ে।”
অরন্যে কথায় হলঘরে মুহূর্তেই যেন একটা নিস্তব্ধতা নেমে এল। আজাদ চৌধুরীর মুখে রাগ ক্ষণিকের জন্য মিলিয়ে গেল। তিনি চোখ সরু করে ধীর গলায় বললেন,
—“কী বলছ এসব? ওর এই অবস্থা কীভাবে হল? ওর মা-বাবা কোথায়?”
অরণ্য শান্ত কণ্ঠে জবাব দিল,
—“ওর মা দুনিয়ার মায়া কাটিয়ে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছেন। আর বাবা গুরুতর অসুস্থ।সিমরান বাধ্য হয়ে আমার কাছে এসেছে। বাবা, তুমি রাগ করো না। সিমরান কয়েক মাস এখানে থাকবে, ওর বাবা সুস্থ হলে চলে যাবে। এতে আমাদের পরিবারের কোনো ক্ষতি হবে না।”
আজাদ চৌধুরী চুপ করে গেলেন। তার মুখে আর রাগ নেই, বরং একটা গভীর চিন্তার ছায়া পড়ল। তিনি ধীর গলায় বললেন,
—“দেখ, অরণ্য, আমি কখনো তোর বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। তাছাড়া, সিমরান তোর বোনের মতো। আমি কীভাবে নিষেধ করব? কিন্তু তুই বড় হয়েছিস,এখন বাড়িতে একজন যুবতী মেয়ে থাকলে হাজার জনে হাজারটা প্রশ্ন করবে।সবাই ওর সাথে তোর নাম জড়ানোর চেষ্টা করবে।”
অরণ্য মাথা নেড়ে বলল,
—“তুমি চিন্তা করো না, বাবা। সিমরান এমন কিছু করবে না, যাতে আমাদের পরিবারের সম্মান নষ্ট হয়।” সে সিমরানের দিকে তাকিয়ে বলল, “তাই না, সিমরান?”
সিমরানের মুখে কথা নেই। তার মনের ভেতর ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অরণ্যের এই অভিনয়, তার এই দ্বিমুখী আচরণ তার কাছে অসহ্য লাগছে। কিন্তু সে নিরুপায়। সে কিছু বলতে পারল না, শুধু মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল।
অরণ্য বলল,
—“বাবা, ওকে ঘরটা দেখিয়ে দিই?”
আজাদ চৌধুরী মাথা নেড়ে সম্মতি দিলেন। অরণ্য সিমরানের হাত ধরে হাঁটতে শুরু করল। সিমরানের পা যেন মাটিতে আটকে যাচ্ছে। তার মনের ভেতর একটা অশান্ত ঝড় শুরু হয়েছে। সে অরণ্যের দিকে তাকিয়ে নিচু স্বরে বলল,
—“আপনি… আপনার বাবাকে কেন সত্যিটা বললেন না? কেন বললেন না, আপনি আমাকে বাধ্য করেছেন এখানে আসতে? উল্টো আমাকে এভাবে অপমান করলেন? আপনি তো জানেন, আমি খারাপ মেয়ে নই। আমি এখানে আমার বাবার জন্য এসেছি, তবুও আমাকে পতিতা বললেন কেন?”
অরণ্য থামল। তার চোখে সেই নিষ্ঠুর হাসি। সে ধীরে ধীরে বলল,
—“টাকার বিনিময়ে যে মেয়ে দেহ বিক্রি করে, তাকে পতিতাই বলে, মিস সিমরান। সেই টাকা দিয়ে কেউ ঔষধ কিনুক বা মদ কিনুক, তাতে কী যায় আসে?”
সিমরানের চোখে জল টলটল করছে। সে কাঁপা গলায় বলল,
—“তাহলে আপনার বাবাকে কেন বললেন না, আপনি আমাকে টাকার বিনিময়ে এনেছেন আপনার শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য? বোন হিসেবে সাহায্য করতে আনেননি!”
অরণ্য হাসল, তার হাসিতে একটা ঠান্ডা নির্মমতা ফুটে উঠছে,
—“বাবা পুরনো দিনের মানুষ। বিয়ে ছাড়া একটা মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানো তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারবেন না। তাই বলিনি।”  সিমরানের গলা কাঁপছে। সে বলল,
—“আমি যদি আপনার বাবাকে সব বলে দিই, তাহলে কী হবে, ভাবতে পারছেন ?”
অরণ্য তার দিকে তাকাল, চোখে একটা ভয়ঙ্কর দৃষ্টি।
—“তেমন কিছুই হবে না। শুধু তোমার বাবার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাবে। আর তোমাকে এই বাড়ি থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে।”
সিমরানের চোখে ভয় আর অসহায়ত্ব মিশে গেল। সে বলল,
—“আপনি কী মানুষ?”
অরণ্য হাসল,
—“মানুষ, তবে ব্যবসায়িক মানুষ। আমি নিজের লাভ ছাড়া কোথাও বিনিয়োগ করি না।”
অরণ্যের কথাগুলো সিমরানের আত্মসম্মানকে আরও ছিন্নভিন্ন করে দিল কিন্তু তার বাবার জীবনের কথা মনে পড়তেই সে নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করল। সে জানে, এই অপমান সহ্য করা ছাড়া তার কাছে আর কোনো পথ নেই। কিন্তু তার মনের গভীরে একটা ক্ষীণ আগুন জ্বলে উঠল। সে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল, একদিন সে এই শিকল ভাঙবে। এই অপমানের প্রতিশোধ নেবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top