Mdigitech

Oronner Chaya Megh Part 15

গাড়ির ইঞ্জিন গর্জন করতে করতে এগিয়ে চলছে। সিমরান অরণ্যের পাশের সিটে কুঁকড়ে বসে আছে, তার চোখে ভয় ও অশ্রু মিশে একাকার। কব্জিতে এখনো অরণ্যের আঙুলের দাগ লাল হয়ে রয়েছে, ব্যথায় সামান্য ফুলে উঠেছে। তবু সে মাথা নিচু করে রেখেছে, যেন অরণ্যের দৃষ্টির আগুন থেকে নিজেকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করছে। অরণ্য স্টিয়ারিং শক্ত করে চেপে ধরে গাড়ি চালাচ্ছে, তার চোয়াল কঠিন, চোখে রাগের তীব্রতা যেন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। রাস্তার শব্দ, গাড়ির ইঞ্জিন আর তার নিজের হৃৎস্পন্দন ছাড়া সিমরানের কানে আর কিছুই পৌঁছাচ্ছে না।

 

গাড়ি অবশেষে অরণ্যের বিশাল বাড়ির সামনে থামলো। বাড়ির গেটের সামনে দুজন গার্ড দাঁড়িয়ে, তাদের মুখে উৎকণ্ঠার গভীর ছায়া। অরণ্য গাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে এল, তার পায়ের শব্দে মাটি যেন কেঁপে উঠল। সে সিমরানের দিকে তাকিয়ে কঠোর কণ্ঠে বলল,

__“বেরো। এখনই। আর একটাও কথা বলবি না।”

সিমরান কাঁপতে কাঁপতে দরজা খুলে নামল। তার পা অসাড় হয়ে আসছে, শরীরে যেন আর শক্তি নেই। সে মাথা নিচু করে অরণ্যের পেছন পেছন হাঁটতে শুরু করল। গেটের গার্ডরা তাদের দেখে চোখ নামিয়ে নিল। অরণ্য ঘরে ঢুকেই বাড়ির সকল গার্ডদের ডাকল, কিন্তু ততক্ষণে তার রাগ গার্ডদের দিকে ঘুরে গেছে।

সে গার্ডদের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলল, __“তোমাদের কাজ কী, হ্যাঁ? এত টাকা খরচ করে আমি এতজন গার্ড রেখেছি কি,মাছি তাড়ানোর জন্য ? সবাই মিলে একটা মেয়েকে সামলে রাখতে পারলে না? আমি স্পষ্ট করে নিষেধ করেছিলাম, সিমরান যেন বাড়ির বাইরে এক পাও না যায়। তবু সে কীভাবে বেরিয়ে গেল? কী করছিলে তোমরা? চুপচাপ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছিলে?”

 

গার্ডদের মধ্যে একজন কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলল, “স্যার, ম্যাডাম খুব কাঁদছিলেন। আমরা ভেবেছিলাম তাঁর কোনো জরুরি কাজ আছে, তাই আর বাধা দিইনি।”

 

গার্ডের কথা শেষ হওয়ার আগেই জংকুক তাকে থামিয়ে দিল।

__“ ভেবেছিলে? ভাবার দায়িত্ব তোমাদের কে দিয়েছে? আমি কি তোমাদের ভাবার জন্য বেতন দিই? আমি বলিনি, সিমরানের ওপর সবসময় নজর রাখবে? একা একা কোথাও যেতে দেবে না। তবুও কীভাবে বেরিয়ে গেল? এমন অপদার্থের মতো কাজ করার জন্য আমি তোমাদের রেখেছি?”

 

অন্য একজন গার্ড মাথা নিচু করে বলল, __“আমাদের ভুল হয়ে গেছে, স্যার। দয়া করে ক্ষমা করুন। আমরা সত্যিই বুঝতে পারিনি। ম্যাডাম বলেছিলেন, তিনি একটু বাইরে যাচ্ছেন তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন।”

 

__“অযুহাত দেওয়া বন্ধ করো, ম্যাডাম তোমাদের চাকরি দিয়েছে নাকি আমি?কার হুকুম মানা তোমাদের দায়িত্ব? ম্যাডামের নাকি আমার? অরণ্যের কণ্ঠে তীব্র ক্রোধ।

 

__“আমাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল স্যার। দয়া করে এবারের মত আমাদের ক্ষমা করে শেষবারের মত সুযোগ দিন।”

 

তাদের কথার মাঝেই সিমরানের কণ্ঠ ভেসে এল, কাঁপা কিন্তু দৃঢ়।

__“আপনি আমার সঙ্গে এমন করতে পারেন না! আমি কোনো খেলনা নই যে আপনার ইচ্ছেমতো আমাকে নিয়ে খেলবেন! আমি কেন বাইরে যেতে পারব না? আমাকে কেন বন্দি হয়ে থাকতে হবে?”

 

সিমরানের প্রশ্ন শুনে অরণ্য তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে বলল,

__“কেন থাকতে হবে কারণটা সবার সামনে খুলে বলব?” অরণ্যের কণ্ঠে বিষাক্ত তাচ্ছিল্য।

 

__“আমার বাবা অসুস্থ। আমি শুধু তাঁকে দেখতে গিয়েছিলাম। আপনি কি এখনো বোঝেননি তিনি আমার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ? অবশ্য আপনার মতো অমানুষ কীভাবে বুঝবে একজন মানুষের জন্য তার পরিবার কতটা গুরুত্বপূর্ণ?”

 

কথাটা বলতে না বলতেই অরণ্যের হাত উঠে গেল। সবার সামনে একটা কর্কশ থাপ্পড় পড়ল সিমরানের গালে। ঘরে নিস্তব্ধতা নেমে এল, যেন সময় থেমে গেছে। সিমরান অবাক চোখে অরণ্যের দিকে তাকাল, তার গালে লাল দাগ ফুটে উঠেছে। অরণ্য চেঁচিয়ে বলল,

__“সবাই যে যার কাজে যাও। এক মিনিটের মধ্যে আমি ঘর খালি দেখতে চাই। আর একটা কথা এটাই তোমাদের জন্য শেষ সতর্কতা। আর একবার কেউ আমার কথার বাইরে কিছু করলে তোমাদের কারোরই চাকরি থাকবে না।”

 

অরণ্যের ধমকে গার্ড ও কাজের লোকেরা সবাই চলে গেল। বিশাল হলঘরে এখন শুধু সিমরান আর অরণ্য দাঁড়িয়ে আছে। সিমরানের ভয় যেন আরও বেড়ে গিয়েছে। বুকের ভিতর টা ধকধক করছে। সে গালে হাত দিয়ে ভয়ার্ত চোখে অরণ্যের দিকে তাকাল। অরণ্য তার দিকে এগিয়ে এল।

__“তোর বাবা তোর জন্য এতই গুরুত্বপূর্ণ? তাহলে কেন তার চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে চাইছিস,সিমরান?

 

__” ম ম মানে?

 

__” মানেটা তো খুবই সহজ। আমি গতকাল থেকে তোর অনেক অবাধ্যতা সহ্য করছি, কিন্তু আমার তো এসব সহ্য করার কথা না। তোর জীবনে সেটাই ঘটার কথা যা আমি চাইব।আর যদি তা নাহয় তাহলে তোর বাবার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা।তুই যেহেতু আমার কথা মানছিস না তারমানে তুই চাইছিস তোর বাবার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাক তিনি হাসপাতালের বাইরে পড়ে থাকুক?”

 

__”নাহ আমি এসব চাই না।আপনি এসব কী বলছেন?”

সিমরান চিৎকার করে উঠল যেন বড়সর ধাক্কা খেয়েছে।অরণ্য এমন কিছু বলবে, সে ভাবতেই পারেনি।

 

__“না বোঝার মতো কিছু তো বলিনি। আমি দানবীর নই যে আমি এমনি এমনি তোকে এতগুলো টাকা দান করব। তুই যদি আমার শর্ত না মানিস,আমার কথার অবাধ্য হোস,তাহলে আমি কেন টাকা দেব? আমি এখনই চিকিৎসা বন্ধ করে দেব।”

 

অরণ্যের কথায় সিমরানের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল। তার বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠল, যেন কেউ তার হৃৎপিণ্ড মুঠোয় চেপে ধরেছে। কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে সে বলল,

__“আপনি ভাবছেন আপনি এসব করলে আমি চুপ করে থাকব? আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আমি… আমি খালামণিকে সব বলে দেব। আপনি কীভাবে আমার অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছেন, আমাকে এভাবে বন্দি করে রেখেছেন, সব বলে দেব।”

 

অরণ্যের ঠোঁটে তাচ্ছিল্যের হাসি ফুটে উঠল। __“খালামণিকে বলবি?বেশ তো আগে তুই তার দেখা পা, তারপর বলিস।

 

__” কেন দেখা পাব না কেন? খালামণি কোথায়

 

__”তোর প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি বাধ্য নই। একটা কথা মাথায় ঢুকিয়ে নে, এই বাড়িতে আমার কথাই শেষ কথা। আমার কথায় এখানকার আইন আর তুই সেই আইনের বিরুদ্ধে চলতে চাইছিস।তোর কি মনে হয় আমি চুপচাপ সেটা মেনে নেব?”

 

সিমরান দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে নিঃশব্দে তাকিয়ে আছে অরণ্যের দিকে। তার গালে লাল হয়ে আছে , কব্জিতে ব্যথার ফোলা ভাব। কিন্তু তার ভেতরের ভয় যেন আরও বেড়ে চলেছে। অরণ্যের এই হিংস্র রূপ, তার গায়ে হাত তোলার সাহস—এটা তার কল্পনাতেও ছিল না। খালামণির সাথে দেখা না হওয়ার সম্ভবনা তার বুকের ভেতর একটা শূন্যতা তৈরি হচ্ছে, যেন সব আশা ধীরে ধীরে মুছে যাচ্ছে।

 

এদিকেঅরণ্যের চিৎকার শুনে তার বাবা, আজাদ সাহেব, নিচে নেমে এলেন। তিনি কয়েক সেকেন্ড সিমরানের দিকে তাকিয়ে রইলেন। তাঁর মুখে বিস্ময়ের ছায়া, কিন্তু তা করুণার নয়—বরং বিরক্তি। তিনি হঠাৎ গর্জে উঠলেন,

__“ কি হচ্ছে কি অরণ্য? এ বাড়িতে এসব কী নাটক শুরু হয়েছে? আমি তোমাকে আগেই বলেছিলাম, এই মেয়েকে এখান থেকে বিদায় করো। তুমি তা না করে এখন কী শুরু করেছ? এসব ঝামেলা, চিৎকার, অশান্তি—এসব কি হচ্ছে? এসব কি আমাদের বাড়ির জন্য উপযুক্ত?”

 

অরণ্য তার বাবার দিকে তাকাল,

__ “বাবা, এটা আমার আর সিমরানের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তুমি এর মধ্যে ঢুকো না, প্লিজ!”

 

আজাদ সাহেব কঠিন দৃষ্টিতে বললেন,

__“ঢুকব না মানে? না ঢুকে উপায় কি?সমাজসেবী আজাদ সাহেবের একমাত্র ছেলে বিশিষ্ট শীল্পপতি অরণ্য চৌধুরী নিজের বাড়িতে দাঁড়িয়ে একটা বাইরের মেয়ের গায়ে হাত তুলছে এটা মিডিয়াতে জানাজানি হলে মান সম্মান কোথায় গিয়ে ঠেকবে ভেবে দেখেছিস?

 

আজাদ সাহেবের কথায় এক মুহূর্তের জন্য নিস্তব্ধতা নেমে এল। অরণ্য একটু দম নিয়ে বলল,

__” চিন্তা করো না বাবা বাড়ির চার দেয়ালের মাঝে যাই ঘটে যাক তা বাড়ির বাইরে যাবে না।কারন যার অভিযোগ করার কথা,সে অভিযোগ করার সাহস পাবে না।

বলে অরণ্য সিমরানের দিকে তাকালো। সিমরান যেন ভয়ে আরও কুঁকড়ে গেল।

__” কিন্তু তুই মেয়েটাকে মারলি কেন? আমি তো তোকে এমন উশৃঙ্খল হওয়ার শিক্ষা দিইনি। ছেলে হয়ে মেয়েদের গায়ে হাত তুলার শিক্ষা কোথায় পেলি?

 

অরন্য এবার নিজের বাবার দিকে এগিয়ে গিয়ে বলল,

__“বাবা, শান্ত হও! সিমরানের সাথে এই পৃথিবীর কারোর তুলনা চলবে না। ধরে নাও আমার শিক্ষা,বিবেক,বিবেচনা সব এই একজনের কাছে এসে বিলীন হয়ে গিয়েছে।

 

__” মানে? কি বলতে চাইছিস?

 

__”তুমি সিমরানের ব্যাপারে সবই জানো। লোকে যদি জানে একজন পতিতা আমাদের বাড়িতে আছে, তাহলে তোমার সম্মানের কী হবে? তাই আমি ওকে বাইরে যেতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু সে আমার কথা মানেনি। তাই একটু শাস্তি দিয়েছি, যেন বুঝতে পারে আমার নিয়ম ভাঙার পরিণতি কী।”

 

অরণ্যের কথায় সিমরান যেন মুহূর্তে পাথর হয়ে গেল। তার বুকের ভেতর যেন একটা বিস্ফোরণ হল। পতিতা শব্দটা তার কানে প্রতিধ্বনিত হতে লাগলো। মনে প্রশ্ন জাগলো সে তো পতিতা নয়, তবু অরণ্য কেন বারবার তাকে এভাবে অপমান করে? তার চোখে অশ্রু জমল, কিন্তু সে কিছু বলতে পারল না। তার গলা আটকে গেছে।

 

আজাদ সাহেব তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ছেলের দিকে তাকিয়ে বললেন,

__“তাহলে প্রশ্ন উঠছে, এমন একজন মেয়েকে এই বাড়িতে আনার দরকারই বা কী ছিল? তুই ওর পরিচয় জানিস, তাহলে কেন ওকে এখানে রাখলি? যদি ওকে এতই সাহায্য করতে ইচ্ছে করে আমাদের যেকোনো একটা ফ্ল্যাটের চাবি দিয়ে দে। সেখানে যতদিন খুশি থাকুক।”

__“তাতে দুর্নাম আরও বেশি হবে। লোকে বলবে আজাদ সাহেবের ছেলে বিয়ে না করে রক্ষিতা পোষছি। তাছাড়া পোষবই যখন এমনি এমনি পোষব কেন ? ও এই বাড়িতে সব কাজ করবে, বিনিময়ে ওকে আমি থাকতে দেব।”

 

__“ আমি কখনো তোর সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করিনি অরণ্য, কিন্তু এবারের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিতে পারছি না। তুই দিন দিন উশৃঙ্খল হয়ে যাচ্ছিস। যাই হোক, আমার এই নাটক আর ভালো লাগছে না। তোর এই বেহায়া নাটক, এই অস্থিরতা—চেঁচামেচি এসব তোর নিজের সমস্যা, অরণ্য। আশা করব এর কন্য আমাদের পরিবারের সম্মানের উপর কোন আঘাত আসবে না। আমি জানি, তোকে বারণ করে কোনো লাভ নেই। তুই তোর নিজের ইচ্ছাতেই চলবি। আমি এটাও জানি এর পিছনে নিশ্চয়ই কোন পরিকল্পনাও আছে তাই আশা করব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে এসব ঝামেলা শেষ করবে। আর যতদিন না এসব শেষ হচ্ছে আমি এখানে ফিরছি না রাতের ফ্লাইটেই দেশের বাইরে যাচ্ছি। তোর এই ঝামেলা শেষ হলে আমাকে জানাস, তখন ফিরব।”

 

বলেই আজাদ সাহেব সিঁড়ি বেয়ে নিজের ঘরের দিকে চলে গেলেন। তাঁর পায়ের শব্দ ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেল। অরণ্য কিছু বলল না। তার চোখে একটা অদ্ভুত শূন্যতা, কিন্তু মুখে রাগের কঠিন রেখা এখনো অটুট।

 

সিমরান দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে রইল। তার মনে প্রশ্ন জাগল, তাকে সাহায্য করার মতো কেউ কি নেই?

অরণ্য এবার সিমরানের দিকে তাকিয়ে বলল,

 

__“কী হল, দাঁড়িয়ে আছিস কেন? ঘরে যা।”

 

সিমরান আর কথা না বাড়িয়ে সিঁড়ি বেয়ে ধীরে ধীরে উঠতে লাগল। প্রতিটি পদক্ষেপ যেন তার শরীরের শেষ শক্তিটুকু শুষে নিচ্ছে। বাড়ির বিশাল দেয়ালগুলো তার চারপাশে যেন একটা অদৃশ্য খাঁচা তৈরি করেছে। তার মনের গভীরে বাবার ক্লান্ত হাসির ছবি ভেসে উঠলেও, অরণ্যের কঠিন মুখ আর তার বিষাক্ত কথাগুলো সেই আলোকে ম্লান করে দিচ্ছে।

 

অরণ্যও তার পেছন পেছন এল। সিমরান যখন নিজের ঘরের দরজার কাছে পৌঁছাল, অরণ্য হঠাৎ তার কব্জি শক্ত করে ধরল। সিমরানের শরীর কেঁপে উঠল। সে ঘুরে তাকাল, কিন্তু অরণ্যের চোখে কোনো দয়া নেই—শুধু একটা অন্ধকারাচ্ছন্ন রাগ। সে সিমরানকে টেনে নিজের ঘরের দিকে নিয়ে গেল তারপর দরজা খুলে সিমরানকে ভেতরে ঠেলে দিল। সিমরান টলে পড়তে পড়তে নিজেকে সামলে নিল, কিন্তু তার হৃৎপিণ্ড যেন বুকের মধ্যে ছটফট করছে। অরণ্য দরজার কাছে দাঁড়িয়ে, বরফের মতো ঠান্ডা ক্রোধ নিয়ে বলল,

__“এই ঘর থেকে তুই এক পাও বাইরে যাবি না। আমি যা বলেছি, এখন থেকে তুই তাই করবি।আর ভাবিস না অবাধ্যতা করলে আমি তোকে ছেড়ে দিব, আজকের এই অবাধ্যতার শাস্তি আমি তোকে রাতে দেব। তৈরি থাকিস।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top